Task: Writing a biographical bangla feature story
Course Code and Name: MSJ11202 Bangla for Media
Project Name: বঙ্গজননী কিংবদন্তি বেগম সুফিয়া কামাল
Project Date: Summer 2022
Project Type: Individual
Project Completed on Semester No: 8
CI Theme: Gender: The Binary and Beyond
Project Description:
This project involved writing a biographical feature in Bengali on the life and contributions of Begum Sufia Kamal, a legendary figure in Bangladesh history. Begum Sufia Kamal was a renowned poet, writer, and social activist who played a crucial role in the women’s emancipation movement in the Indian subcontinent. The feature story, titled “বঙ্গজননী কিংবদন্তি বেগম সুফিয়া কামাল,” highlights her journey from a traditional Muslim household to becoming a leading figure in the fight for women’s rights, social justice, and cultural preservation in Bangladesh. The article traces her life from her early struggles, her contributions to literature, her active role in various political movements, and her lasting impact on the nation.
Project Justification:
The project was developed as part of the MSJ11202 Bangla for Media course, under the theme Gender: The Binary and Beyond. The choice of Begum Sufia Kamal as the subject of this biographical feature is justified by her monumental role in shaping the narrative around gender equality and women’s rights in Bangladesh. By showcasing her life story, the project aims to inspire readers and shed light on the legacy of a figure who broke barriers and empowered women in a traditionally patriarchal society. This work also emphasizes the importance of preserving and promoting the stories of women who have contributed significantly to social change, ensuring that their legacies continue to inspire future generations.
Published On Print: The ULABian Bangla Version Newspaper (Spring-Summer-2023)
Publication Link: https://ulab.edu.bd/sites/default/files/ULABian-Bangla-Spring-Summer-2023.pdf
Figure: “বঙ্গজননী কিংবদন্তি বেগম সুফিয়া কামাল” biographical feature story written by Zakia Sultana Sanam at The ULABian Bangla Version Newspaper (Spring-Summer-2023).
Department of Media Studies and Journalism
Course Title: Bangla for Media
Course Code: MSJ11202
Term: Summer 2022
Section: 02
Bangla Feature Story on The Biography of Begum Sufia Kamal
Submitted To
Bikash Ch. Bhowmick
Assistant Professor
Bachelor of Social Science (SSS)
Department of Media Studies and Journalism
University of Liberal Arts Bangladesh (ULAB)
Submitted By
Zakia Sultana Sanam (201012045)
Date of Submission: 19th September, 2022
বঙ্গজননী কিংবদন্তি বেগম সুফিয়া কামাল
আজ একটা গল্প বলবো,বাংলার অসুরপুরের নানা ধরণের দৈত্যদের বিরুদ্ধে এক সংগ্রামমুখর বন্দিনী রাজকন্যার লড়াইয়ের গল্প। তিনি ছিলেন মমতাময়ী, স্নেহময়ী, বঙ্গজননী এবং বাংলার এক আদর্শ নারী। তিনি ছিলেন প্রতিটি পরিপূর্ণ বাঙালির মা, ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ বহুমাত্রিক প্রতিভাময়ী মহীয়সী নারী কালজয়ী কবি, বেগম সুফিয়া কামাল। বাংলার বীর সন্তানদের হৃদয় স্পর্শ করেছিলেন এই বঙ্গজননী তার সাহসিকতা দিয়ে। ‘মোর যাদুদের সমাধি’ কাব্যগ্রন্থে কবি লিখেছেন –
‘কে আছে সৌভাগ্যবতী আমার মতন
এক পুত্রহীনা হয়ে শত পুত্র ধন
লভেছি, সৌভাগ্য মোর। শতেক দুহিতা
সারা বাংলাদেশ হতে ডাকে মোরে মাতা
জননী আমার! তুমি করিয়ো না শোক
তুমি আছ পূর্ণ করি সর্বান্তর লোক।‘
ভারতীয় উপমহাদেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কিংবদন্তি সুফিয়া কামালের জন্ম এমন এক সময়ে (১৯১১ সালের ২০ জুন) যখন যুদ্ধের দামামা বেজে চলছিলো গোটা বিশ্বে। বিভিন্ন ভাষা ও সাহিত্যে সেই সময়টাতে পুরো দুনিয়া জুড়েই নতুন নতুন ধারার প্রবর্তন হচ্ছিল। দেশীয় সাহিত্যে দাপিয়ে বেড়ানো রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ের মাত্র দুই বছর আগে বরিশালের শায়েস্তাবাদে অভিজাত এক জমিদার পরিবারে মাতামহের বাড়িতে জন্ম হয় সুফিয়া কামালের। তিনি একজন প্রখ্যাত কবি, চিন্তাবিদ, সমাজকর্মী, লেখক, নারীবাদী এবং বাংলাদেশের সমসাময়িক নারী উন্নয়ন আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
তাঁর পিতা সৈয়দ আব্দুল বারী সুফিয়ার সাত বছর চলাকালীন অবস্থায় সাধকদের অনুসরণে গৃহত্যাগ করে নিরুদ্দেশ হন। বাবার অনুপস্থিতিতে, তখন তাঁর মা সাবেরা খাতুন, সুফিয়ার নানা বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন ফলে মায়ের স্নেহ-মমতায় তাঁর শৈশব কেটে ছিল সেখানেই। তখনকার বাঙালি মুসলিম নারীদের থাকতে হতো গৃহবন্দী। না ছিল নারীশিক্ষার গুরুত্ব, না ছিল বিদ্যালয় পাঠের সুযোগ। এমনকি, বাংলা ভাষার প্রয়োগও পরিবারে নিষিদ্ধ ছিল কারণ সেখানে কথ্য ভাষা ছিল উর্দু, এবং মেয়েদের পর্দা করা ছিল বাঞ্চনীয়। ফলে আরবি ও ফারসি শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলা শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তাই বাড়িতে বসেই তিনি বাংলা শিখতেন তাঁর মা ও মামার কাছে। মায়ের উৎসাহ ও সহযোগিতায় তিনি বই পড়ার সুযোগ পান মামার লাইব্রেরিতে। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না পাওয়া সত্ত্বেও একটি রক্ষণশীল পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশে বসবাস করে, পারিবারিক উত্থান-পতনের মধ্যেও তিনি নিজ প্রচেষ্টায় স্ব-শিক্ষিত এবং সুশিক্ষিত হয়ে ওঠেন। পর্দার ঘের থেকে বেরিয়ে আসেন এক আধুনিক নারী রূপে।সে সময়ে সুফিয়া কামালের মতো একজন স্ব-শিক্ষিত এবং সমাজ সচেতন নারীর আবির্ভাব ছিল এক অসামান্য ব্যাপার। এই দেশ, দেশের মানুষ, সমাজ, ভাষা ও সংস্কৃতি তাঁকে স্ব-শিক্ষিত হতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের সহযোগিতায় সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চায় উৎসাহিত হয়ে সুফিয়া সে সময়ের বাঙালি সাহিত্যিকদের রচিত লেখা পড়তে শুরু করেন, পাশাপাশি নিজেও লিখতে শুরু করেন। মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন সম্পাদিত সেসময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাত পত্রিকায় ‘বাসন্তী’ নামক সুফিয়ার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর সাঁঝের মায়া কাব্যগ্রন্থটি। এর ভূমিকা লিখেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটি পড়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে সুফিয়ার প্রশংসা করেন। সেই থেকেই সুফিয়া কামাল কবিমহলে বিখ্যাত হয়ে উঠেন। ১৯৪৬ সালের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় কবি সুফিয়া কামাল দাঙ্গাপীড়িতদের সাহায্য করে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ১৯৪৮ সালে সুফিয়া ব্যাপকভাবে সমাজসেবা ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষার উদ্দেশ্যে শান্তি কমিটিতে যোগ দেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সুফিয়া কামাল সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির ওপর দমননীতির অঙ্গ হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তিনি তার বিরুদ্ধেও তীব্র প্রতিবাদ জানান। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষে তিনি ‘সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন’ পরিচালনা করেন।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসের অসহযোগ আন্দোলনে ঢাকায় নারী সমাবেশ ও মিছিলে তিনি নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ধানমন্ডির নিজ বাড়িতে অবস্থান করে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য-সহযোগিতা করে, পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর দান প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তিনি তাঁর মুক্তিসংগ্রামী–সত্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। যুদ্ধকালীন তিনি একাত্তরের ডায়েরী নামে একটি দিনলিপি রচনা করেন এবং এ সময়ে লেখা তাঁর কবিতাগুলি পরবর্তীকালে ‘মোর যাদুদের সমাধি’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। কবিতাগুলিতে তিনি বাঙালিদের ওপর পাকবাহিনীর নৃশংসতা বর্ণনা করেন এবং দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন। ১৯৯০ সালে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শরিক হয়েছেন, কার্ফ্যু উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেছেন। মুক্তবুদ্ধির পক্ষে এবং সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে আমৃত্যু তিনি সংগ্রাম করেছেন।
কবি সুফিয়া কামাল, বুদ্ধিজীবি, সমাজনেত্রী এবং অনন্য সাধারন নারী ব্যক্তিত্ব। দেশে ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ মহীয়সী নারী কবি সুফিয়া কামাল আজীবন মুক্তবুদ্ধির চর্চার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন পথিকৃৎ। দেশের যে কোন মানবতাবাদী, প্রগতিবাদী ও গণমুখী কর্মসূচীতে তিনি সব সময় অগ্রভাগে ছিলেন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য ‘বেগম সুফিয়া কামাল হল’ নির্মাণ করে। বাংলার প্রতিটি সংগ্রামে সুফিয়া কামালের যেমন ছিল দৃপ্ত পদচারণা তেমনি তিনি ধারন করেছেন বাঙালি আধুনিক নারীর প্রতিকৃতি।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন কবিতা চর্চা ও লেখালেখির মধ্যে দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ কামনা করেছিলেন কবি সুফিয়া কামাল। নারী জাগরণের অগ্রদুত বেগম রোকেয়ার পর তিনি এদেশের নারী সমাজকে অন্ধকার পথ থেকে সরিয়ে শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে আলোকিত করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাকে বেগম রোকেয়ার উত্তরসূরী হিসাবেও অনেকে মনে করেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কবি সুফিয়া কামালের অবদান অনস্বীকার্য, তাঁর সফল নেতৃত্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে এদেশের নারী সমাজ নেমে এসেছিলেন। বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করার আগ্রহী করে তুলতে সহযোগিতা করেছিল কবি সুফিয়া কামালের সৃষ্টিশীল সাহিত্য কর্ম, কবিতা ও তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতি।
১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় আজিমপুর কবরস্থানে। বাংলাদেশী নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন।
আদর্শের মৃত্যু হয়না, মৃত্যু হয়না প্রতীকের। তাই মৃত্যু নেই সুফিয়া কামালের ও। কারণ তিনি ছিলেন আদর্শের প্রতীক। জীবনের শুরু থেকে শেষ অব্দি তিনি ছিলেন আপোসহীন , জ্যোতির্ময় বিবেকের প্রতীক, চেতনার প্রতীক। কবির ভাষায় –
‘তুমি বেঁচে রবে আমার ভুবনে যতদিন আমি রব,
যুগ যুগ ধরি প্রতিদিন আমি তোমারে ঘেরিয়া নব।‘
References:
- Wikipedia contributors. (2022, August 27). সুফিয়া কামাল. উইকিপিডিয়া. Retrieved September 16, 2022, from https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE_%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2
- Kabir, A. (2014, August). কামাল, বেগম সুফিয়া – বাংলাপিডিয়া. In banglapedia. Retrieved September 16, 2022, from https://bn.banglapedia.org/index.php/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2,_%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%97%E0%A6%AE_%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
- Administrator, S. (n.d.). বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল-এর স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন।. Retrieved September 16, 2022, from https://bnm.org.bd/site/index.php/artwork-collection-policy/77-events/430-27-12-2017
- রায়গ. (2019, June 20). বঙ্গজননী সুফিয়া কামাল ও বিশ শতকের মুসলিম নারী মানস. Bdnews24. Retrieved September 16, 2022, from https://bangla.bdnews24.com/opinion/feature-analysis/56709
- কামালবেগম সুফিয়া. (1989). একাত্তরের ডায়েরী. In Internet Archive. হাওলাদার প্রকাশনী.
Learnings and Outcomes (Self-reflection):
- Gained journalistic storytelling techniques and enhanced research skills.
- Improved linguistic precision and creative expression in Bangla.
- Deepened understanding of gender and social issues in Bangladesh.
- Enhanced ability to write compelling biographical narratives and improved reporting skills.
- Explored the intersection of gender, culture, and politics in Bangladesh history.
- Experienced the fulfillment of having work published in a university newspaper.